Skip to main content

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর জামায়াত | Gazipur City Election 2018

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে
বড় ফ্যাক্টর জামায়াত
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের প্রধান দুই শরীক বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলের মেয়র প্রার্থী ময়দানে থাকায় কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ প্রার্থী।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে জামায়াতের ভোট একটি বড় ফ্যাক্টর। ২০০৯ সালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান এলাকা নিয়ে গঠিত গাজীপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন আলী প্রায় ২৫ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে বর্তমানে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিএনপির প্রার্থী সুরুজ আহম্মেদ। পক্ষান্তরে চেয়ারম্যান পদে জামায়াতের কোনো প্রার্থী না থাকায় বিএনপি প্রার্থী এস এম শাহানশাহ আলম আওয়ামী প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছিলেন।
নয় বছরের ব্যবধানে এই সিটিতে জামায়াতের ভোটের সংখ্যা অনেক বেড়েছে বলেই সুধীজনদের ধারনা। সাংগঠনিকভাবেও জামায়াত নয় বছর আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী। ইতিমধ্যে তাদের মেয়র প্রার্থী নগর আমীর অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহর পক্ষে পরিকল্পিতভাবে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়ে তারা নগরবাসীর দৃষ্টি কাড়তে সমর্থ হয়েছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ ও বিভিন্ন কারণে গাজীপুরে আসা ভাসমান ভোটারের সংখ্যাও এখন প্রচুর। এদের বড় একটি অংশ জামায়াতের নীরব সমর্থক।
এদিকে গাজীপুর মহানগরে বসবাসরত নগরবাসীর বৃহৎ একটি অংশ জেলার কাপাসিয়া উপজেলা থেকে আগত। জামায়াত প্রার্থী অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহর জন্ম কাপাসিয়ায় হওয়ায় তিনি এর একটি বাড়তি সুবিধা অবশ্যই পাবেন।
মাদরাসার অধ্যক্ষ এবং কেন্দ্রিয় শিক্ষক নেতা হওয়ার কারণে সাধারণ শিক্ষক সমাজ ও মাদরাসা শিক্ষকদের মাঝেও অধ্যক্ষ সানাউল্লাহর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
গাজীপুরের বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে মহানগর জামায়াতের সাহসী ও জোরালো ভুমিকা এবং সারাদেশে জামায়াতের উপর বর্তমান সরকারের অব্যাহত জুলুম-নির্যাতনের কারণেও সার্বিকভাবে জামায়াতের প্রতি গণমানুষের সহানুভূতি ও সমর্থন অনেকটাই বেড়েছে।
সর্বোপরি দলের নিবন্ধন কেড়ে নেয়ার ফলে জামায়াত প্রার্থীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হচ্ছে এ কারণেও ভোটারদের বাড়তি সহানুভূতি পাচ্ছেন তিনি। শিক্ষা, সততা, কর্মক্ষমতা, দক্ষতা ও যোগ্যতার বিচারেও ক্লিন ইমেজের জামায়াত প্রার্থী অনেকটাই এগিয়ে।
সব মিলিয়ে ২০ দলীয় জোট থেকে একক প্রার্থী দিতে না পারলে বিজয় লাভ করা দুরূহ হবে বলেই সাধারণ ভোটারদের ধারনা। পক্ষান্তরে অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহকে ২০ দলের একক প্রার্থী করা হলে বিজয় নিশ্চিত বলেই মনে করেন নগরবাসী।

Collected from Ashraf Ali's Facbook Profile

Comments

Popular posts from this blog

জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে ইসলামী জাগরণ ঠেকানো যাবে না | অধ্যক্ষ এসএম সানাউল্লাহ

জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে ইসলামী জাগরণ ঠেকানো যাবে না ---------------- অধ্যক্ষ সানাউল্লাহ গাজীপুর মহানগর উন্নয়ন পরিষদ সমর্থিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নগর জামায়াতের আমির কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহ বলেছেন, ইসলামকে মাইনাস করে কোনো রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। নিবন্ধন বাতিল করে জামায়াতের মতো আদর্শবাদী দলকেও মাইনাস করা যাবে না। আসন্ন সিটি নির্বাচনে নগরবাসী ইসলাম ও মানবতার পক্ষে সমর্থনের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বৈরী মিডিয়া যাই প্রচার করুক না কেনো জনতা নীরব ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে সকল অপপ্রচারের জবাব দিবে ইনশাআল্লাহ। সোমবার বাদ আসর নগরীর বোর্ডবাজার এলাকায় গণসংযোগের জন্য উপস্থিত হলে সমবেত স্বতস্ফূর্ত শত শত জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। এক পর্যায়ে বিরাট পথসভায় রূপ নেয়া উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, শহীদ মতিউর রহমান নিজামীদের রক্তে ভাসা বাংলাদেশে অবশেষে ইসলামের শান্তির পতাকা উড়বেই। তিনি আবেগাপ্লুত কন্ঠে বলেন, এই নগরীতেই চার দেয়ালের ভেতর বন্দী কুরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। তার সালাম নিয়...

Gazipur City Election 2018

Gazipur City Election 2018 Gadget has been published. মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার। ইতিমধ্যেই মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১০জন মেয়র প্রার্থী এবং সাধারণ কাউন্সিলর ২৯৪জন এবং সংরক্ষিত নারী ৮৭জন সহ মোট ৩৯৪জন প্রার্থী। Bangladesh Awami League Candidate : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জনাব এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। BNP Candidate : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে জনাব হাসান উদ্দিন সরকার দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। Bangladesh Jamat E Islami Candidate : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত জনাব অধ্যক্ষ এস.এম সানাউল্লাহ । তিনি স্বতন্ত্র থেকে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন বলে জানা গেছে। জনাব এস.এম সানাউল্লাহ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গত ৩১ মার্চ ২০১৮ গাজীপুর সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হবে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৩ এপ্রিল। প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৪ এপ্রিল। গাজীপুর সিটির ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত ...

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে শ্রমিকদের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহ কে নির্বাচিত করুন

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে শ্রমিকদের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহ কে নির্বাচিত করুন ----- অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রিয় সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেছেন, গাজীপুর হলো দেশের বৃহত্তর শ্রমিক নগরী। শ্রমিকদের ভাগ্যের উন্নয়ন হলে গাজীপুর এগিয়ে যাবে। এজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন সৎ, যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্ব। তাই অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহর মতো যোগ্য ব্যক্তিকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করতে শ্রমিক ভাইদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সোমবার দুপুরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী ও গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহর সাথে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি আজহারুল ইসলাম মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচিত হলে শ্রমিক অধ্যুষিত গাজীপুর নগরীতে শ্রমিকদের ভাগ্যের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়...